Angikar Paribar

পাঠশালার চারবছর, প্রতিজ্ঞার চারবছর

[Bengali]

তখন আমাদের ক্লাস এইট। হঠাৎ রুটিনে দেখি একটা নতুন ক্লাস জুড়ে গেছে। আমরা তো বেজায় রেগে গেছি স্যারদের ওপর ! ওই কঠিন কঠিন অঙ্ক, দাঁতভাঙা বিজ্ঞান, কিছুতেই পিছু না ছাড়া সংস্কৃত’র পরে আবারও একটা নতুন বিষয় পড়তে হবে? কেন বাপু? আমরা কী এমন দোষ করলুম? বিরক্তি নিয়ে যখন ক্লাস করতে বসব, তখন হঠাৎ শুনি, এ আসলে কোনো সিলেবাসের পড়াই নয়। জীবনের পড়া, বেঁচে থাকার পড়া। ক্লাসটার নাম ছিল জীবনশৈলী। লাইফস্টাইল। নানান কারণে সে ক্লাস দীর্ঘমেয়াদ পায়নি বটে, তবে বড় হতে হতে বেশ বুঝেছি সেদিনের ওই ক্লাসটা নিয়মিত হলে কতটা সুবিধা হতো!

সিলেবাসের পড়াকেই শেষ কথা ভেবে আমরা যখন পৃথিবী কাঁপিয়ে দিয়েছি, বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও সেই এক পথে ঠেলে দিতে চেয়েছি, তখনই কিছু কিছু ব্যতিক্রম উদাহরণ হয়ে ধরা দিয়েছে চোখের সামনে। আস্তে আস্তে খুলে গেছে চেনা ছকের বাইরের বহু দরজা। আর তাই, আমরাও চেয়েছিলাম আমাদের স্বপ্নের মতো পাঠশালার বাচ্চারা নিজের নিজের একটা দুনিয়া খোঁজার অবকাশ পাক। ভাবুক, গভীর ভাবে ভাবুক যে কোনো বিষয় নিয়ে।

যথাসময়ে এবং যথাস্থানে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ বলার; অন্যের মতামত এবং অবস্থানকে সম্মান করার বোধ জেগে উঠুক ওদের মধ্যে, এই ছিল উদ্দেশ্য। ওদের বিশাল বড় স্কলার হতে হবে না। দারুণ চাকুরে, বা ব্যবসাদারও হতে হবে না। ওরা নিজের পথে, নিজের মতে হাঁটতে শিখুক। ওরা ‘আত্ম’র সাথে সাথে ‘অপর’কে প্রাপ্য সম্মান আর ভালোবাসা দিয়ে বড় হতে শিখুক। জীবনের কাছে এর বেশি আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই।
তবে কাজ এখনও অনেক বাকি। আমরাও মনে করি না, আদৌ তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পেরেছি। কিন্তু যাত্রাটা চলছেই। সেই পথেই বর্ষপূর্তি একটু উৎসাহের আর একটু সংকল্পের।
সবশেষে বিশ্বাস থাকুক। মানুষের উপর ভরসা থাকুক। কারণ সবকিছুর পরেও আজও কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে, আজও কিছু মানুষ কথা রাখে।

FOUR YEARS OF PATHSHALA , FOUR YEARS OF PROMISE

[English]

Then our class was eight. Suddenly we see a new class added to the routine. We are very angry with the sirs! Have to study a new subject again after that tough maths, tooth breaking science, Sanskrit with nothing left behind? Why? What did we do wrong? When we sit in class with annoyance, we suddenly hear that this is not really a syllabus study. Reading of life, reading of survival. The name of the class was lifestyle. Due to various reason, that class did not last long, but as we grew up we understood how much benefit it would have been if that class was regular!

When we shook the world thinking that reading the syllabus was the last thing, or wanted to push our next generation to the same path, then some exceptional examples were caught before our eyes. Many doors outside the familiar table have been slowly opened. And so, we also wanted the children of our dream school to have the opportunity to find a world of their own. Think, think deeply about any subject.

To say ‘yes’ or ‘no’ at the right time and place; the aim was to inculcate in them a sense of respect for the opinions and positions of others. They don’t have to be huge scholars. You don’t have to have a great job, or even be a businessman. Let them learn to walk in their own way, in their own way. Let them learn to grow up with due respect and love for ‘self’ as well as ‘other’. There is nothing more to ask for in life.

But there is still a lot of work to be done. We don’t think we have done anything significant at all. But the journey continues. In that way, the anniversary is a bit of enthusiasm and a bit of determination.
Finally, have faith. Trust in people. Because after everything, some people still dream, some people still talk.

1 thought on “পাঠশালার চারবছর, প্রতিজ্ঞার চারবছর”

  1. গ্রামীণ এলাকায় এই ধরণের উদ্যোগ কে আমি ব্যক্তিগত সাধুবাদ জানাই এই কারণেই অনেক দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার আলো গ্রহণ করে সু-প্রতিষ্ঠিত হতে এবং ভবিষ্যতের একজন ভালো নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে সেই আশা রাখি। তোমাদের এই উদ্যোগ আরো এগিয়ে যাক। ❤❤

Comments are closed.